ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত এখন কাশিমপুর কারাগারে, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে
নেওয়া হয়েছে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত
আলীকে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ওই কারাগারে নেওয়া হয়।
গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ newzorigin.com
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত এখন কাশিমপুর কারাগারে
এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি
প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
পরে তাদের কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বুধবার ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের বহনকারী প্রিজনভ্যানটি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছে।
বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা বন্ধ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও রি-এজেন্টও
কিনেছিলেন অধ্যক্ষ আসাদ। যন্ত্রটি হাসপাতালকে দেওয়ার সময় জানানো হয়েছিল, প্রকল্প থেকে তিন বছর
রি-এজেন্ট সরবরাহ করা হবে সাত-আট মাস
আগে তাঁকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে। রি-এজেন্ট শেষ হওয়ার আগে কলেজকে সরবরাহ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু বাজেট না থাকার কথা উল্লেখ করে কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ রি-এজেন্ট সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে জানান। হাসপাতালে বছরে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার রি-অ্যাজেন্টের প্রয়োজন পড়ে।
এই পরিমাণ টাকা হাসপাতালের নেই
তাই রি-এজেন্ট ক্রয় করতে না পারায় প্রায় চার মাস ধরে ল্যাব পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদের বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদ হোসেন মেডিক্যালের নামে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ ল্যাব যন্ত্রপাতি এবং রি-এজেন্ট নিজ উদ্যোগে ক্রয় করেন।
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত এখন কাশিমপুর কারাগারে
হীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক তপন কান্তি সরকার বলেন, শ্বাসকষ্টে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়া রোগীদের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা জীবন রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলেজের তত্কালীন অধ্যক্ষ ডা. আসাদ হোসেন হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাগুলো কিনে হাসপাতালের স্টোর রুমে রেখেছিলেন। কেনার বিষয়টি তিনি হাসপাতালের কাউকে জানাননি। আইসিইউ এবং করোনা ওয়ার্ড চালু করতে গিয়ে ২০টি ক্যানুলা নষ্টের বিষয় ধরা পড়ে।