রাজনৈতিক সভ্যতা জাতির অবস্থান নির্ধারণ করে

রাজনৈতিক সভ্যতা জাতির অবস্থান নির্ধারণ করে, রাজনৈতিক সভ্যতা একটি জাতির অবস্থান নির্ধারণ

করে দেয় অন্য কোনো কিছু এর নির্ধারক হতে পারে না। আমাদের রাজনৈতিক সভ্যতা কোন স্তরে,

তা মূল্যায়ন করতে হবে। দুর্নীতির স্তর দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্রের অবস্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ newzorigin.com

রাজনৈতিক সভ্যতা জাতির অবস্থান নির্ধারণ করে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে

দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট এ কথা বলেছে। আদালত বলেছেন, আপাতদৃষ্টিতে হাজার হাজার দুর্নীতিবাজ থাকার

পরও দুদক তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ, সম্পত্তির বিষয়ে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেয় না। দুর্ভাগ্যবশত তারা

মিডিয়া কাভারেজের ওপর নির্ভর করে থাকে। রায়ের পর্যবেক্ষণে একটি সক্রিয় ও কার্যকর কমিশন দেখার প্রত্যাশা

ব্যক্ত করে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতি বা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে

দুদকের সাহস ও সক্ষমতা বাড়ানো উচিত

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ

থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিশেষ আদালত তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে তাঁকে সহযোগিতা করায় স্ত্রী গুলশান আরা বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরের বছর হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালে হাইকোর্ট সাজা বাতিল করে রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপলি বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আবার হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন।

রাজনৈতিক সভ্যতা জাতির অবস্থান নির্ধারণ করে

গত বছরের ৯ মার্চ তাঁর ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় দেন উচ্চ আদালত। সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

হাজি সেলিম এই মামলায় জামিনে আছেন। তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গতকাল দুই পক্ষের আইনজীবীরাই বলেছেন, হাজি সেলিমকে এখন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাতে আদালতের আদেশে তাঁকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই সঙ্গে ঝুঁকিতে পড়েছে তাঁর সংসদ সদস্য পদও।

৬৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ২০২০ সালে অবসরে গেছেন। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।

একটি কার্যকর ও সক্রিয় দুর্নীতি দমন কমিশন দেখার

প্রত্যাশা ব্যক্ত করে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুর্নীতি নির্মূল করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তার জন্য আমরা সক্রিয় এবং কার্যকর একটি কমিশন দেখতে চাই, যে কমিশন সাংবিধানিক পদধারী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মচারী—যে-ই হোক না কেন, খুঁজে বের দুর্নীতির মূলোত্পাটন করবে।

Leave a Comment