সড়ক ভেঙে সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার

সড়ক ভেঙে সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার, নতুন সেতুতে যাওয়ার জন্য পুরনো ছোট সেতুর

পাশের রাস্তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাশেই মাটি দিয়ে নতুন রাস্তা করা হয়েছে। এরপর ঠিকাদার

কাজ বন্ধ করে দেয়। এখন তারা নানা কারণে কাজ শুরু করছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

যানবাহন নিয়ে এ সড়কে যেতেই বিপাকে পড়েছেন তিনি।সেতুটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লালন

বাজার-পান্টি বাজার সড়কের ঐতিহ্যবাহী পান্টি বাজারে ডাকুয়া নদীর উপর অবস্থিত। স্থানীয়দের

অভিযোগ, সেতু থেকে রাস্তা আলাদা করে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার। মাটি দিয়ে বিকল্প

কাঁচা রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের প্রয়োজন নেই। এখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

করছে।তবে ঠিকাদার দাবি করছেন, বিভিন্ন কারণে কাজটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিন পর

আবার কাজ শুরু হবে।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:newzorigin.com

সড়ক ভেঙে সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার

কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, পান্তি বাজার এলাকায় ডাকুয়া নদীর ওপর ৭১ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।ডন-রুমানা জেভি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। চুক্তি অনুসারে, কাজটি ১৬ আগস্ট, ২০২১ এ শুরু হওয়ার এবং এই বছরের ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেতু নির্মাণের জন্য গত ১৮ মার্চ বিকল্প সড়কের কাজ শুরু করে ঠিকাদার। এ জন্য পুরনো ছোট সেতুর পাশের সড়ক ভেঙে সেতু থেকে সড়ক আলাদা করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, ডাকুয়া নদীর দুই তীরে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী পান্টি বাজার। উপজেলার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বাজার এটি। উপজেলার চাঁদপুর, বগুলাট, পান্টি ও যাদুবায়রা ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।

গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি পুনঃনির্মাণে রাস্তা কেটে

ফেলায় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।শুক্রবার সকালে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতু থেকে পাকা রাস্তা কেটে গেছে। নদীর ভেতরে বিকল্প কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। নেই কোন সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই। ঠিকাদার, শ্রমিক বা ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের কাউকে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে চরম দুর্ভোগে।স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী জানান, বাজারের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতু নির্মাণের জন্য রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাকরির খোঁজ নেই। এখন কষ্টের শেষ নেই।পান্তি বাজারের ব্যবসায়ী আজম খান বলেন, এখন সড়কে হাঁটাচলা কঠিন। বাজারে পণ্য আনতে চরম সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেশি। বৃষ্টি হলে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।মোতালেব আলী ব্রিজ এলাকায় চা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটে হাজার হাজার মানুষ সেতু পার হতেন। কিন্তু ঠিকাদার রাস্তা কেটে কোনো কাজ না করে পালিয়ে যায়।

এখন মানুষের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই

পান্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান বলেন, “পান্টি একটি ঐতিহ্যবাহী ও পুরনো বাজার। সেতুর কাজ মানুষের চরম দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।”জানতে চাইলে ঠিকাদার রুমানার মালিক ফারুক হোসেন বলেন, “সেতু এলাকায় দুটি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে আছে। সেগুলো অপসারণ করা হলে কাজ শুরু হবে। এছাড়া কয়েকদিন আগে পান্টি এলাকায় মারামারি হয়েছিল। এর কারণে। এই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বর্তমান বাজারে সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেশি।এতে অনেক সমস্যা রয়েছে।জানি না আমার সামনে কী অপেক্ষা করছে।’এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। তবে সেতুটি ভেঙেছে নাকি সেতু থেকে রাস্তা আলাদা হয়েছে তা জানা যায়নি। সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Comment